সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সোনামড়ল হাওরে নির্মাণ কাজ শুরুর আগেই একটি বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। উপজেলার সুখাইড়-রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামের পার্শ্ববর্তী ২৬ নম্বর পিআইসির নির্মাণাধীন এই বাঁধটি স্থানীয়ভাবে ঠাকুরকিত্তা জাঙ্গাল নামে পরিচিত।
জানা যায়, গত জ্যৈষ্ঠ মাসে মৎস্য শিকারীরা বাঁধ কেটে দেওয়ায় ঠাকুরকিত্তা জাঙ্গালের গভীরতা বেড়ে যায়। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ড এটিকে বিপদজনক ভাঙা (ক্লোজার) হিসেবে চিহ্নিত করে এবং ঠাকুরকিত্তা ক্লোজার থেকে আজরাখালী পর্যন্ত ১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, ঠাকুরকিত্তা অংশে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হলেও আজরাখালী অংশে এখনো কাজ হয়নি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অগ্রগতি রিপোর্টে (৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) এই বাঁধের ৪০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজরাখালী অংশের প্রায় ১০ মিটার জায়গাজুড়ে নদীর পাশের অংশে ফাটল ধরেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধের পাশে স্লুপ (ঢালু অংশ) না থাকায় পানি কমার সাথে সাথে ফাটল দেখা দিয়েছে।
নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক নজির হোসেন বলেন, “বাঁধের ওপরে মাটি ভরাট করা হলেও এর প্রস্থ বাড়ানো হয়নি, স্লুপ তৈরিতেও কোনো কাজ হয়নি।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট অনন্ত কুমার জানান, ফাটল রোধে বাঁশের আড় ও জিও ব্যাগ ব্যবহার করা প্রয়োজন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি আবুল কালাম জানান, বরাদ্দের টাকা না পাওয়ায় শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা যায়নি, এক্সকাভেটর ট্রাকের ভাড়াও বাকি আছে। তবে তিনি দাবি করেন, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধর্মপাশা উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “ওই অংশে এখনো কাজ শুরু হয়নি। ফাটল ঠেকাতে বাঁধের উচ্চতা বাড়ানোর পাশাপাশি হাওরের অংশেও প্রশস্ততা বাড়ানো হবে।”