তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে লটারী ছাড়া এডিপির ১২টি কাজ ভাগাভাগি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যা ঠিকাদারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হলে, তিনি পুনরায় লটারী আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন।
আল মারইয়ম এন্টারপ্রাইজ ও নজরুল কন্সট্রাকশনের পরিচালকরা জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অভ্যন্তরীণ সড়ক, ড্রেন, কালভার্ট ও ঘাটলা মেরামতের লক্ষ্যে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। ১২টি প্যাকেজের জন্য অন্তত ৬০টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা পর্যন্ত দরপত্র গ্রহণ করা হয় এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি লটারীর সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু ১৮ ফেব্রুয়ারি, নির্ধারিত তারিখের একদিন আগেই, কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই উপজেলা প্রকৌশলী তার পছন্দের ৪-৫ জন ঠিকাদারকে নিয়ে লটারীর নামে কাজ ভাগ করে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে ঠিকাদাররা প্রতিবাদ জানান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি অবহিত করেন। তাদের হস্তক্ষেপে পুনরায় লটারী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আল মারইয়ম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কামাল মিয়া বলেন, “১৯ ফেব্রুয়ারি লটারী হওয়ার কথা শুনেছিলাম, কিন্তু ১৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনা সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। অনেক ঠিকাদারই এ বিষয়ে অজ্ঞাত ছিলেন।”
তাহিরপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী জাহেদুর রহমান বলেন, “লটারী দেওয়া হয়েছিল, তবে তা বাতিল করা হয়েছে। পুনরায় লটারী আয়োজন করা হবে।” কাজ ভাগাভাগির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
এদিকে, সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, “একজন ঠিকাদারের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছি অন্তত তিন দিন আগে নোটিশ দিয়ে সবার সামনে লটারী দিতে হবে।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাসেম বলেন, “কম সংখ্যক ঠিকাদারের উপস্থিতিতে লটারী হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে। সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পুনরায় লটারী অনুষ্ঠিত হবে।”