মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সিলেটে থাকাকালীন চোরাকারবারিদের সঙ্গে তার বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসময় পুলিশি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বেশ কিছু বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটে, যা ব্যাপক সমালোচিত হয়। পরে, পদোন্নতি পেয়ে তিনি অতিরিক্ত ডিআইজি হন এবং সিলেট থেকে বদলি হয়ে র্যাব ১০-এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেন।
জুলাই-আগস্টের আন্দোলন চলাকালে ফরিদ উদ্দিন আলোচনায় আসেন। তিনি যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউনের নেতৃত্ব দেন এবং আন্দোলন দমনে তার ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া তার বক্তব্যে তিনি আন্দোলন দমনে ১০ মিনিট সময় লাগবে বলে দাবি করেছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, “আমরা কোনো প্রাণহানি চাই না, তবে আন্দোলন ক্লিয়ার করতে ১০ মিনিট সময় লাগবে।” তবে, আন্দোলনের সময় সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল এবং ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের ব্যবহৃত শক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
বর্তমানে তিনি এপিবিএনে পার্বত্য চট্টগ্রামে কর্মরত থাকলেও, তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার তদন্ত চলছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনি বর্তমানে পলাতক। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ টিম কাজ করছে, যদিও ফরিদ উদ্দিন দাবি করেছেন, তিনি অসুস্থতার কারণে ছুটিতে আছেন।
অতিরিক্ত আইজিপি আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ ও পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) রেজাউল করিম জানিয়েছেন, ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।