সাগর-রুনি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে জেল হাজতে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ, সাবেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের তথ্য গ্রহণসহ নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নষ্ট হয়ে যাওয়া আলামত বিশ্লেষণের জন্য আমেরিকান একটি ডিএনএ সংস্থার সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ‘দিরাই-শাল্লা উন্নয়ন ফোরামের’ মেধাবৃত্তি ও হুইলচেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান মামলার আইনজীবী শিশির মনির।
তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি যৌথ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। আগামী ৪ এপ্রিল আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। তাঁরা বেশ কিছু অগ্রগতি দেখিয়েছেন। ইতোমধ্যে জেলবন্দি আসামিদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, আগের তদন্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে, এবার তদন্তের ফলাফল সন্তোষজনক হবে বলে আশা করা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “ঘটনার ১৩ বছর পেরিয়ে গেছে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত নষ্ট হয়েছে। তাই সরকার আমেরিকার একটি বিশেষজ্ঞ ডিএনএ সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের সহায়তা নিচ্ছে।”
এদিকে, আইনজীবী শিশির মনির নিজ উদ্যোগে ১৭টি স্কুল ও মাদ্রাসার দুই শতাধিক মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষাবৃত্তির দায়িত্ব নিয়েছেন এবং ১০ জন অসহায় প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করেছেন।