লন্ডন ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাবিপ্রবি ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতা মনির হোসেনের খোলা চিঠি

 

সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিত কর্মী মো. মনির হোসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি খোলা চিঠি লিখেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, অদৃশ্য কোনো কারণে তাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে খোলা চিঠি পোস্ট করেন মনির হোসেন। চিঠিতে তিনি ছাত্রদলের জন্য তার দীর্ঘ ত্যাগ, কারাবরণ, লড়াই-সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেন।

এক দশক পর নতুন কমিটি

গত ১৪ মার্চ প্রায় এক দশক পর শাবিপ্রবিতে ৭৬ সদস্যের নতুন কমিটি অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন রাহাত জামান এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন নাঈম সরকার।

তবে নতুন কমিটিতে পদ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মনির হোসেন, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

মনির হোসেনের বক্তব্য

চিঠিতে মনির হোসেন লেখেন, “আমি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের একজন ক্ষুদ্র কর্মী। ২০১৩ সাল থেকে ছাত্রদলের সকল কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। দুঃসময়ে সংগঠনের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কাজ করেছি, এমনকি গ্রেফতারও হয়েছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ১৪ মার্চ ঘোষিত কমিটিতে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কী অদৃশ্য কারণে বা কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তা আমি জানতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-৯ সেশন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-৯ সেশন এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ সেশনের ছাত্রনেতাদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অথচ আমি ২০১২-১৩ সেশনের হয়েও পদবঞ্চিত হয়েছি। এর কারণ কী?”

ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ

শাবিপ্রবি ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকে বেশ কিছু পদবঞ্চিত নেতা ও কর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করা অনেক নেতাকে উপেক্ষা করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপি বা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। তবে মনির হোসেনের খোলা চিঠি ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

 

ট্যাগ:

শাবিপ্রবি ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতা মনির হোসেনের খোলা চিঠি

প্রকাশের সময়: ০৮:৫৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

 

সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিত কর্মী মো. মনির হোসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি খোলা চিঠি লিখেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, অদৃশ্য কোনো কারণে তাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে খোলা চিঠি পোস্ট করেন মনির হোসেন। চিঠিতে তিনি ছাত্রদলের জন্য তার দীর্ঘ ত্যাগ, কারাবরণ, লড়াই-সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেন।

এক দশক পর নতুন কমিটি

গত ১৪ মার্চ প্রায় এক দশক পর শাবিপ্রবিতে ৭৬ সদস্যের নতুন কমিটি অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন রাহাত জামান এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন নাঈম সরকার।

তবে নতুন কমিটিতে পদ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মনির হোসেন, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

মনির হোসেনের বক্তব্য

চিঠিতে মনির হোসেন লেখেন, “আমি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের একজন ক্ষুদ্র কর্মী। ২০১৩ সাল থেকে ছাত্রদলের সকল কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। দুঃসময়ে সংগঠনের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কাজ করেছি, এমনকি গ্রেফতারও হয়েছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ১৪ মার্চ ঘোষিত কমিটিতে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কী অদৃশ্য কারণে বা কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তা আমি জানতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-৯ সেশন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-৯ সেশন এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ সেশনের ছাত্রনেতাদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অথচ আমি ২০১২-১৩ সেশনের হয়েও পদবঞ্চিত হয়েছি। এর কারণ কী?”

ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ

শাবিপ্রবি ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকে বেশ কিছু পদবঞ্চিত নেতা ও কর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করা অনেক নেতাকে উপেক্ষা করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপি বা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। তবে মনির হোসেনের খোলা চিঠি ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।