লন্ডন ১১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষি অফিসে দুদকের অভিযানে পাওয়া গেল নানা অনিয়মের তথ্য

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে নানা অনিয়মের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদক সিলেটের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদারের নেতৃত্বে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দিনব্যাপী কৃষি অফিসে অভিযান চালায় দুদক। অভিযানে কার্যালয়ে সংরক্ষিত বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই বাছাই করা হয়। নথিপত্র যাচাইকালে দেখা যায় উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সরকারি ভর্তুকিতে ৮৬৯টি হারভেস্টার মেশিন ক্রয় করে কৃষকদের দেয়া হয়েছে । ক্রয়কৃত এসব মেশিনের মধ্যে ৭১৪ টি সচল ও বিকল রয়েছে ১৫৫ টি। যার মধ্যে এক ব্যাক্তি বিভিন্ন নামে একাধিক হারভেস্টার নিয়েছেন। একজন কৃষকের নামে বরাদ্দকৃত হারভেস্টার অন্য আরেকজনকে দিয়ে দেয়া এবং পর্যাপ্ত প্রকৃত তথ্য ছাড়া মেশিন প্রদান, ঠিকমতো সার্ভিসিং সেবা না দেয়া সহ নানা অনিয়মের তথ্য পায় দুদক।

অভিযান শেষে দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, আমরা নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে অভিযান চালিয়েছি। অভিযানে জেলা অফিসে থাকা বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই করে দেখা যায়, একই অর্থবছরে বিভিন্ন নামে এক ব্যক্তিকে একাধিক হারভেস্টার মেশিন দেয়া হয়েছে। একই ব্যক্তি পর পর দুই অর্থবছরে হারভেস্টার মেশিন পেয়েছেন। একজন কৃষকের নামে বরাদ্দকৃত হারভেস্টার অন্য আরেকজনকেও দিয়ে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। একটা মেশিন প্রদান করতে যা যা তথ্য লাগে কৃষকের সেসকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছাড়াই হারভেস্টার দেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি দুই বছর বিনামূল্যে মেশিনের সার্ভিসিং পাওয়ার চুক্তি থাকলেও মেশিন নষ্ট হলে টাকা দিয়েও সেবা পাচ্ছেন না। প্রাথমিক ভাবে যাচাই বাছাই করে এগুলো পেয়েছি। আমরা সকল নথিপত্র নিয়ে যাচ্ছি, এগুলো গভীরভাবে যাচাই বাছাই করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, তারা এসেছিলেন আমার অফিসে বিভিন্ন উপজেলায় বিতরণকৃত হারভেস্টার মেশিন নিয়ে তদন্ত করতে। আমি আমার পক্ষ থেকে সকল ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছি। কোন অসাধু কর্মকর্তাকে বাঁচানোর ইচ্ছা বা সুযোগ আমার নেই। উপজেলা পর্যায়ে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে সকলের শাস্তি নিশ্চিত হউক এটাই চাই।

 

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

কৃষি অফিসে দুদকের অভিযানে পাওয়া গেল নানা অনিয়মের তথ্য

প্রকাশের সময়: ০৬:২১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে নানা অনিয়মের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদক সিলেটের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদারের নেতৃত্বে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দিনব্যাপী কৃষি অফিসে অভিযান চালায় দুদক। অভিযানে কার্যালয়ে সংরক্ষিত বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই বাছাই করা হয়। নথিপত্র যাচাইকালে দেখা যায় উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সরকারি ভর্তুকিতে ৮৬৯টি হারভেস্টার মেশিন ক্রয় করে কৃষকদের দেয়া হয়েছে । ক্রয়কৃত এসব মেশিনের মধ্যে ৭১৪ টি সচল ও বিকল রয়েছে ১৫৫ টি। যার মধ্যে এক ব্যাক্তি বিভিন্ন নামে একাধিক হারভেস্টার নিয়েছেন। একজন কৃষকের নামে বরাদ্দকৃত হারভেস্টার অন্য আরেকজনকে দিয়ে দেয়া এবং পর্যাপ্ত প্রকৃত তথ্য ছাড়া মেশিন প্রদান, ঠিকমতো সার্ভিসিং সেবা না দেয়া সহ নানা অনিয়মের তথ্য পায় দুদক।

অভিযান শেষে দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, আমরা নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে অভিযান চালিয়েছি। অভিযানে জেলা অফিসে থাকা বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই করে দেখা যায়, একই অর্থবছরে বিভিন্ন নামে এক ব্যক্তিকে একাধিক হারভেস্টার মেশিন দেয়া হয়েছে। একই ব্যক্তি পর পর দুই অর্থবছরে হারভেস্টার মেশিন পেয়েছেন। একজন কৃষকের নামে বরাদ্দকৃত হারভেস্টার অন্য আরেকজনকেও দিয়ে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। একটা মেশিন প্রদান করতে যা যা তথ্য লাগে কৃষকের সেসকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছাড়াই হারভেস্টার দেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি দুই বছর বিনামূল্যে মেশিনের সার্ভিসিং পাওয়ার চুক্তি থাকলেও মেশিন নষ্ট হলে টাকা দিয়েও সেবা পাচ্ছেন না। প্রাথমিক ভাবে যাচাই বাছাই করে এগুলো পেয়েছি। আমরা সকল নথিপত্র নিয়ে যাচ্ছি, এগুলো গভীরভাবে যাচাই বাছাই করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, তারা এসেছিলেন আমার অফিসে বিভিন্ন উপজেলায় বিতরণকৃত হারভেস্টার মেশিন নিয়ে তদন্ত করতে। আমি আমার পক্ষ থেকে সকল ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছি। কোন অসাধু কর্মকর্তাকে বাঁচানোর ইচ্ছা বা সুযোগ আমার নেই। উপজেলা পর্যায়ে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে সকলের শাস্তি নিশ্চিত হউক এটাই চাই।